preloader

সংবাদ

Home » Blog » রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক
blog (1)

রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক

নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ব শর্ত হলো নিজের অধিকার, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নিজেকে তৈরী করা। দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের সকল পর্যায়ে নারীদের সন্মানজনক অবস্থানে রাখার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতায়নও জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন নারী নেত্রীরা। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বেঙ্গল ব্লুবেরিতে জাতীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্ক গঠন সভায় তারা এই মন্তব্য করেন। অপরাজিতা-নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থারসমূহের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার রূপসা উপজেলার আইজগাতী ইউপির সাধারন আসনের সদস্য আকলিমা খাতুন তুলি। সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট রোকসানা খোন্দকার, প্রকল্পের উপ-পরিচালক ফওজিয়া খোন্দকার, ডেমক্রেসি ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক ওয়াজেদ ফিরোজ, সুইজারল্যান্ড এ্যামবাসির প্রতিনিধি ও হেড অব কো-অপরাশেন করিন হেনচোজ পিগনানি, প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাবিনা ইয়াসমিন লুবনা, হেলভেটাস বাংলাদেশের প্রতিনিধি প্রশান্ত ত্রিপুরা প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন। আরমা দত্ত বলেন, আগামীতে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদে সাধারণ আসনে নারীরা নির্বাচিত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আমার বিশ্বাস। সংসদ সদস্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, অপরাজিতাদের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের যে ঢেউ সঞ্চারিত হয়েছে, তা নিচ থেকে উপরে এসে নীতিনির্ধারণী মহলেও নাড়া দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। রোকসানা খোন্দকার বলেন, নারীরা যতক্ষণ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিজেদেরকে তৈরি করতে পারছেন না ততক্ষণ পর্যন্ত নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন সম্ভব না। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পটি ২০১১ সাল থেকে বাস্তবায়ন হচ্ছে, ইতোমধ্যে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়, সেই প্রেক্ষাপটে আজকে জাতীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্ক গঠন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী সুইজারল্যান্ডের (এসডিসি) সহায়তায় অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পটি ২০১৮ থেকে হেলভেটাস বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং চারটি সহযোগী সংস্থা খান ফাউন্ডেশন, ডেমক্রেসি ওয়াচ, প্রিপ ট্রাস্ট ও রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের ছয়টি বিভাগের ১৬টি জেলার ৬২টি উপজেলার মোট ৫৪০টি ইউনিয়নে অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সভা শেষে সবার সম্মতিতে আরমা দত্ত ও এডভোকেট রোকসানা খোন্দকারকে সহ-আহবায়ক করে একটি জাতীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়।

Share: